ইয়াংজি নদীর তলদেশে দেখা মিলেছে প্রাচীন বৌদ্ধ মুর্তি
নদীর জল শুকিয়ে যাওয়ার পর চীনের ইয়াংজি নদীর তল দেশে দেখা দিল ৬০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মুর্তি। চীনে চলছে বিগত ছয় দশকের সবচেয়ে বড় শুষ্ক মৌসম। এমন পরিস্থিতিতে চীনের প্রধান নদী গুলোর একটি ইয়াংজি নদীর জল ভেদ করে দেখা দিয়েছে প্রায় ৬০০ বছরের পুরনো বৌদ্ধ মুর্তি।
জল ভেদ করে দেখা দেওয়া তিনটি মূর্তি
মধ্যে সবচেয়ে বড় মুর্তিটি একটি পদ্মাসনে উপবিষ্ট একজন সন্ন্যাসীকে চিত্রিত করে। চীনের
দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর চংকিং-এর কাছে ইয়াংজি নদীতে এই চিত্র দেখা গেছে। রয়টার্স নিউজ
এজেন্সির একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভাস্কর্যগুলো একটি শিলাখণ্ডে খোদাই করা তৈরী
করা হয়েছিল যা ফোয়েলিয়াং আইল্যান্ড রিফের উপরে অবস্থিত। ধারনা করা হচ্ছে এগুলো মিং
এবং কিং রাজবংশের সময় স্থাপিত গৌতম বুদ্ধের মুর্তি।
ইয়াংজি এশিয়ার দীর্ঘতম এবং বিশ্বের
তৃতীয় দীর্ঘতম নদী। এই নদীর সাথে সংযুক্ত অনেক কয়েক ডজন উপনদী শুকিয়ে গেছে ইতোমধ্যে।
৪০০ মিলিয়নেরও বেশি চীনা জনগণের পানীয় জলের প্রধান উৎস ইয়াংজি নদী। দেশের অর্থনীতির
একটি প্রধান চালক এবং বিশ্বের সাথে চীনের নৌপথ যোগাযোগ শৃঙ্খলে একটি মূল সংযোগ। ১৯৮৫
সালের পর এই বছরই রেকর্ড পরিমান পানি শুকিয়ে গেছে বলে চীনের পরিসংখ্যা ব্যুরো জানিয়েছে।
এর মধ্যে চীন সরকার কিছু প্রয়োজনীয় শিপিং রুট বন্ধ করে দিয়েছে।
চীনের দক্ষিণাঞ্চলে চলমান তাপপ্রবাহ
এবং তার সাথে থাকা খরা রেকর্ড শুরু হওয়ার পর থেকে দেশের দুটি বৃহত্তম মিঠা পানির হ্রদকে
সর্বনিম্ন স্থানে ফেলে দিয়েছে। সবচেয়ে বড় হ্রদ, পোয়াং-এর পানির পরিমাণ ৭৫ শতাংশ
কমেছে, যা ১৯৫১ সালের পর সর্বনিম্ন স্তর।
চীনের জাতীয় আবহাওয়া কেন্দ্র পূর্বাভাস
দিয়েছে যে তাপপ্রবাহ কমপক্ষে ২৫ আগস্ট পর্যন্ত স্থায়ী হবে এবং সেপ্টেম্বর পর্যন্ত
অব্যহতভাবে চলতে পারে।
চীনের সঙ্কট বিশ্বজুড়ে প্রভাব ফেলেছে,
রেকর্ড-ব্রেকিং তাপমাত্রার বৃদ্ধির ফলে জলের মজুদ হ্রাস পাচ্ছে এবং একই সময়ে, জলের
স্তর হ্রাস পাওয়ার সাথে সাথে অতীতের হারিয়ে যাওয়া ধ্বংসাবশেষগুলো উন্মোক্ত হচ্ছে।