গৌতম বুদ্ধ
গৌতম বুদ্ধ, মানুষকে বলে গেছেন অহিংসার কথা। সদা ত্যাগের মহান শিক্ষাই দিয়েছেন তিনি। তার এ অহিংসার শিক্ষার ভিত্তিতে বৌদ্ধধর্ম প্রবর্তিত হয়। অনুমান করা হয়, তিনি খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ থেকে ৪র্থ শতাব্দীর মধ্যবর্তী কোনও এক সময়ে প্রাচীন ভারতের পূর্বাঞ্চলে জীবিত ছিলেন এবং শিক্ষাদান করেছিলেন।
গৌতম বুদ্ধ ভোগবাসনা চরিতার্থ-করণ এবং তার অঞ্চলে প্রচলিত শ্রমণ আন্দোলনের আদর্শ অনুসারে কঠোর তপস্যার মধ্যে মধ্যপন্থা শিক্ষা দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি মগধ ও কোশলসহ পূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও শিক্ষাদান করেন।
গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্র। বৌদ্ধরা তাকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা দিব্য শিক্ষক মনে করেন, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সকলকে জানিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম ও দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন।
বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন, গৌতম বুদ্ধের জীবনকাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলি তার মৃত্যুর পর তার অনুগামীরা সূত্রায়িত করেন এবং স্মরণে রাখেন। প্রায় ৪০০ বছর পরে তার উপদেশ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন সংকলন মৌখিক প্রথা থেকে প্রথম লিপিবদ্ধ হয়।
যিনি সমস্ত মানবের কল্যাণের জন্য নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। তিনি রাজার পুত্র হয়েও কোন রাজপ্রসাদে জন্মগ্রহণ করলেন না, মুক্ত প্রকৃতির মধ্যে নীল আকাশের নীচে আর্বিভূত হলেন। পুত্র জন্মাবার কয়েকদিন পরেই মারা গেলেন মায়াদেবী। শিশুপুত্রের সব ভার নিজের হাতে তুলে নিলেন মাসি মহাপ্রজাপতি। শিশুপুত্রের নাম রাখা হল সিদ্ধার্থ।
রাজা শুদ্ধোধন জ্যোতিষীদের আদেশ দিলেন শিশুর ভাগ্য গণনা করতে। তারা সিদ্ধার্থের ভাগ্য গণনা করে বললেন, এই শিশু একদিন পৃথিবীর রাজা হবেন। যেদিন এ জরাজীর্ণ বৃদ্ধ মানুষ, রোগগ্রস্ত মানুষ, মৃতদেহ এবং সন্ন্যাসীর দর্শন পাবে সেই দিনই সংসারের সকল মায়া পরিত্যাগ করে গৃহত্যাগ করবেন।
কথিত আছে, প্রচীন ভারতে বর্তমান নেপালের অন্তর্গত হিমালয়ের পাদদেশে ছিল কোশল রাজ্য। রাজ্যের রাজধানী কপিলাবস্তু। কোশলের অধিপতি ছিলেন শাক্যবংশের রাজা শুদ্ধোধন।
শুদ্ধোধনের সুখের সংসার একটি মাত্র অভাব ছিল। তার কোন পুত্রসন্তান ছিল না। বিবাহের দীর্ঘদিন পর গর্ভবতী হলেন জ্যেষ্ঠা রানী মায়াদেবী। সে কালের প্রচলিত রীতি অনুসারে সন্তান জন্মাবার সময় পিতৃগৃহে যাত্রা করলেন মায়াদেবী।
সেদিন
ছিল বৈশাখী পূর্ণিমা। পথে লুম্বিনী উদ্যান। সেখানে এসে পৌঁছতেই প্রসব বেদনা উঠল রানীর। যাত্রা স্থগিত রেখে বাগানেই আশ্রয় নিলেন সকলে। সেই উদ্যানেই জন্ম হয় বুদ্ধের। তখন ৫৬৩ খ্রিস্টপূর্ব।
সিদ্ধার্থ বা গৌতম বুদ্ধ ছোট থেকেই উদাসীন, পিতার অগাধ সম্পত্তি ও রাজকীয় অবস্থা তাঁর জীবনকে রেখাপাত করেনি। তিনি যখন ষোল
(মতান্তরে ১৯) বছর বয়সে পদার্পণ করেন, তাঁকে গোপাদেবী নামে এক রাজকুমারীর সঙ্গে বিবাহ দেওয়া হলো।
পরবর্তীকালে তাঁদের একটি পুত্রসন্তান জন্মগ্রহণ করে। পুত্রের নাম রাখলেন রাহুল। কিন্তু সংসারের ভোগবিলাসের প্রতি তিনি একেবারেই উদাসীন ছিলেন।
একদিন রথে চড়ে নগরী ভ্রমনের অনুমতি দেন তার পিতা। নগরীর সকল অংশে আনন্দ করার নির্দেশ দেন তিনি, কিন্তু সিদ্ধার্থের মন ভরল না।
প্রথম দিন নগরী ঘুরতে গিয়ে একজন বৃদ্ধ ব্যক্তি, দ্বিতীয় দিন একজন অসুস্থ মানুষ, তৃতীয় দিন একজন মৃত ব্যক্তি এবং চতুর্থ দিন একজন সন্ন্যাসী দেখে তিনি সারথি ছন্দককে প্রশ্ন করে জানতে পারেন জগৎ দুঃখময়। তিনি বুঝতে পারেন সংসারের মায়া, রাজ্য, ধন-সম্পদ কিছুই স্থায়ী নয়। তাই দুঃখের কারণ খুঁজতে গিয়ে ২৯ বছর বয়সে
আষাঢ়ী পূর্ণিমা রাতে গৃহত্যাগ করেন সিদ্ধার্থ।
দীর্ঘ
৬ বছর কঠোর সাধনার পর এক বৈশাখী পূর্ণিমা রাতে তিনি পরম জ্ঞান লাভ করেন, যাকে বৌদ্ধ
পরিভাষায় বোধি জ্ঞান বলে। অতঃপর তিনি ‘বুদ্ধ’ (পরমজ্ঞানী) বা তথাগত (যিনি সত্যের সন্ধান পেয়েছেন) নামে পরিচিত হন।
পরমজ্ঞান লাভ করে বারানসীর উপকূলের সারনাথে গিয়ে তিনি তাঁর নতুন ধর্ম প্রচারে ব্রতী হন। এরপর প্রায় ৪৫ বৎসরকাল মগধ কৌশল প্রভৃতি পূর্ব ভারতের নানা স্থানে ধর্মপ্রচার করেন। সারনাথে
প্রথম জন ভিক্ষুর নিকট তিনি ধর্ম দেশনা শুরু করেন। বৌদ্ধ ইতিহাসে তাদের বুদ্ধের পঞ্চবর্গীয়
শীষ্য বলে। তাদের নিকট তিনি সর্বপ্রথম ধর্মচক্র প্রবর্তন
সূত্র দেশনা করেন।
গৌতম বুদ্ধের বৈপ্লবিক মতাদর্শ মানুষকে নতুন ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করে। বুদ্ধ এমন এক জীবনপথের সন্ধান দেন যেখানে মানুষ সহজ ও সরল জীবন যাপন করতে পারে।
বুদ্ধ কোনো ঈশ্বর ছিলেন না বা ঈশ্বরের অবতারও ছিলেন না। রাজকুমার হওয়া সত্ত্বেও তিনি ছিলেন একজন সাধারণ মানুষ এবং নিজের চেষ্টায় তিনি জীবনের চরম সত্যকে জেনেছিলেন।
বুদ্ধ মানব জাতির কোনো ত্রাণকর্তা ছিলেন না। তিনি বরং তাঁর অনুগামীদের স্বনির্ভর হতে এবং নিজেদের মুক্তির জন্য অধ্যবসায়ের সঙ্গে কাজ করতে উদ্বুদ্ধ করতেন। তাঁর বক্তব্যই ছিল নিজেকে চেষ্টা করতে হবে।
বুদ্ধের ধর্ম (ধম্ম) বা শিক্ষা শুধু পরমেশ্বরে অবিশ্বাসই নয়, বরং সৃষ্টিতত্ত্ব, আত্মার অমরত্ব, শেষ বিচার ইত্যাদি বিষয়ের প্রতিও আস্থাহীনতা। এসব ছাড়াও বুদ্ধের মতবাদ এখনও বিশ্বের অন্যতম প্রধান ধর্ম হিসেবে বিবেচিত হয়, কারণ এটি একটি উচ্চমার্গীয় আধ্যাত্মিক শৃঙ্খলা ও মহৎ জীবনব্যবস্থা, যা সূক্ষ্ম নীতিবোধের ওপর প্রতিষ্ঠিত। বিশ্বাসকে বুদ্ধ তাঁর ধর্ম গ্রহণের ভিত্তি হিসেবে পরিপূর্ণরূপে বর্জন করেছেন। তাই বৌদ্ধধর্ম হচ্ছে একান্তই যুক্তিনির্ভর (বিভজ্জবাদ)।
বুদ্ধ বলেছেন, ‘আমার কথা তোমরা গ্রহণ করবে কেবল যুক্তি দিয়ে বিচার করে, কেবল আমার প্রতি তোমাদের শ্রদ্ধার কারণেই নয়।’ তিনি বলেছেন, ‘আস এবং দেখ (এহিপস্সিকো)’ এবং এভাবেই তিনি তাঁর মতবাদের যৌক্তিকতা তুলে ধরেছেন।
গৌতম বুদ্ধ ভোগবাসনা চরিতার্থ-করণ এবং তার অঞ্চলে প্রচলিত শ্রমণ আন্দোলনের আদর্শ অনুসারে কঠোর তপস্যার মধ্যে মধ্যপন্থা শিক্ষা দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে তিনি মগধ ও কোশল সহ পূর্ব ভারতের অন্যান্য অঞ্চলেও শিক্ষাদান করেন।
বৌদ্ধধর্ম গৌতম বুদ্ধ কর্তৃক প্রচারিত একটি ধর্ম বিশ্বাস এবং জীবন দর্শন। বৌদ্ধ ধর্ম আপাত অর্থে জীবন দর্শন। অনুসারীদের সংখ্যায় বৌদ্ধধর্ম বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম ধর্ম।
শ্রীলংকা, ভারত, ভুটান, নেপাল, লাওস, কম্বোডিয়া, মায়ানমার, চীন, জাপান, মঙ্গোলিয়া, থাইল্যান্ড, ভিয়েতনাম, ও কোরিয়াসহ পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশে এই ধর্মবিশ্বাসের অনুসারী রয়েছে। সবচেয়ে বেশি বৌদ্ধধর্মাবলম্বী বাস করেন চীনে। বাংলাদেশের উপজাতীদের বৃহত্তর অংশ বৌদ্ধধর্মে দীক্ষিত।
গৌতম বুদ্ধ হলেন বৌদ্ধধর্মের কেন্দ্রীয় চরিত্র। বৌদ্ধরা তাকে সেই বোধিপ্রাপ্ত বা দিব্য শিক্ষক মনে করেন, যিনি সম্পূর্ণ বুদ্ধত্ব অর্জন করেছেন এবং নিজের অন্তর্দৃষ্টির কথা সকলকে জানিয়ে চেতন সত্ত্বাদের পুনর্জন্ম ও দুঃখের সমাপ্তি ঘটাতে সাহায্য করেছেন। বৌদ্ধরা বিশ্বাস করেন, গৌতম বুদ্ধের জীবন কাহিনী, কথোপকথনের বিবরণ, সন্ন্যাস নিয়মাবলি তার মৃত্যুর পর তার অনুগামীরা সূত্রায়িত করেন এবং স্মরণে রাখেন। প্রায় ৪০০ বছর পরে তার উপদেশ হিসেবে পরিচিত বিভিন্ন সংকলন মৌখিক প্রথা থেকে প্রথম লিপিবদ্ধ হয়।
বুদ্ধ ছিলেন বাস্তবধর্মী সংস্কারক। মানবজাতি জাগতিক দুঃখকষ্ট থেকে যাতে মুক্তি পায় তার পথনির্দেশ করাই ছিল বুদ্ধের একান্ত কামনা। তিনি মনে করতেন যে, মানুষের মৃত্যুর পর তার আত্মা পুনরায় দেহলাভ করে। এই নবজন্মের পর তাকে গত জন্মের কর্মফল ভোগ করতে হয়। কর্মফল ও তার পরিণাম ‘দুঃখ’ সম্পর্কে গৌতম বুদ্ধ চারটি সত্য উপলব্ধি করেন। যা পরে আর্যসত্য নামে অভিহিত হয়।
যথা– (১) সংসারে দুঃখকষ্ট রয়েছে
(২) এই দুঃখকষ্টের কারণও আছে
(৩)মানুষের দুঃখকষ্ট নিরোধের তৃতীয় সত্য
(৪) দুঃখকষ্ট অবসান করার সত্যপথ জানতে হবে
বুদ্ধের মতে জন্মই দুঃখের কারণ। তাঁর মতে কামনা-বাসনা, আসঙ্গলিপ্সা, তৃষ্ণা, আসক্তি প্রভৃতি প্রবৃত্তি থেকেই দুঃখকষ্টের আবির্ভাব হয়। এদের অবসানকল্পে বুদ্ধ অষ্টপন্থা বা অষ্টাঙ্গিক মার্গের নির্দেশ দিয়েছেন।
সেগুলি হল- (১) সৎ বাক্য ,(২) সৎ কার্য, (৩)সৎ জীবন, (৪)সৎ চেষ্টা, (৫)সৎ চেতনা, (৬)সৎ চিন্তা, (৭)সৎ সংকল্প এবং (৮) সৎ দর্শন। এই আটটি পন্থাই নির্বাণ লাভের চরম পথ। এগুলির দ্বারাই মানুষের মনে যথার্থ শান্তি আসতে পারে।
বৌদ্ধধর্মের মধ্যে কতকগুলি নৈতিক উপদেশও আছে। এগুলি ‘পঞ্চশীল’ নামে অভিহিত। যথা-হিংসা, ব্যভিচার, মদ্যপান, মিথ্যাভাষণ ও পরস্বাপহরণ থেকে বিরত থাকার নির্দেশ।
বৌদ্ধধর্ম মূলত কোন এক নতুন ধর্ম নয়। এ ধর্ম মানুষকে পবিত্র জীবনধারণ করতে নির্দেশ দিয়েছে। এগুলি শিষ্যদের দেওয়া গুরুর নৈতিক উপদেশ। যথার্থ বিশ্বাস, পবিত্র জীবনযাপন ও সৎ কার্য ইত্যাদি। সকল ধর্মেরই মূল কথা। বুদ্ধের ধর্মমতে আবার অনুষ্ঠানের বিশেষত্ব কিছুই নেই। এতে ব্যয়বহুল যাগ-যজ্ঞ প্রভৃতির প্রাধান্য নেই। বলা চলে নতুন ধর্মের প্রবর্তক হওয়ার চেয়ে তিনি ছিলেন সংস্কারক। তিনি প্রচলিত সামাজিক ও ধর্মীয় আড়ম্বরের বিরুদ্ধে জোরদার প্রতিবাদ করেছিলেন। হিন্দুধর্মের ত্রুটি বিচ্যুতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার হিন্দুধর্মকে ত্যাগ করেননি। বৌদ্ধধর্মের উপর ব্রাহ্মণ্য ধর্মের প্রভাব যথেষ্টভাবে বিদ্যমান।উপনিষদের কর্মবাদও এর মধ্যে স্থানলাভ করেছে।
বুদ্ধের দর্শন:
বুদ্ধের দর্শনের প্রধান অংশ হচ্ছে দুঃখের কারণ ও তা নিরসনের উপায়। বাসনা হল সর্ব দুঃখের মূল। বৌদ্ধমতে সর্বপ্রকার বন্ধন থেকে মুক্তিই হচ্ছে প্রধান লক্ষ্য- এটাকে নির্বাণ বলা হয়। নির্বাণ শব্দের আক্ষরিক অর্থ নিভে যাওয়া (দীপনির্বাণ, নির্বাণোন্মুখ প্রদীপ), বিলুপ্তি, বিলয়, অবসান। কিন্তু বৌদ্ধ মতে নির্বাণ হল সকল প্রকার দুঃখ থেকে মুক্তি লাভ। এই সম্বন্ধে বুদ্ধদেবের চারটি উপদেশ যা চারি আর্য সত্য (পালিঃ চত্বারি আর্য্য সত্যানি) নামে পরিচিত। তিনি অষ্টবিধ উপায়ের মাধ্যমে মধ্যপন্থা অবলম্বনের উপর বিশেষ জোর দিয়েছেন।
সমাজ বাস্তবতায় বিভিন্ন নৈতিক উপদেশ দিয়েছিলেন বৌদ্ধ ধর্মের প্রবাদপুরুষ গৌতম বুদ্ধ। এগুলো ত্রিপিটকের গ্রন্থসমূহে সংকলিত রয়েছে। আমাদের এই আয়োজনে গৌতম বুদ্ধের ১০ টি নৈতিক উপদেশ তুলে ধরা হলো।
১) মা যেমন তার একমাত্র পুত্রকে নিজের জীবন দিয়ে রক্ষা করে থাকে, সেরূপ সকল প্রাণীর প্রতি মৈত্রীভাব পোষণ করবে।
২) রাগের সমান অগ্নি নেই। দ্বেষের সমান গ্রাসকারী নেই। মোহের সমান জাল নেই। তৃষ্ণার সমান নদী নেই। তাই রাগ-দ্বেষ-মোহ ও তৃষ্ণা পরিত্যাগ করতে হবে।
৩) আরোগ্য পরম লাভ, সন্তুষ্টি পরম ধন, বিশ্বাস পরম জ্ঞাতি, নির্বাণ পরম সুখ।
৪) মাতা-পিতার সেবা করা, স্ত্রী-পুত্রের উপকার সাধন করা এবং নিষ্পাপ ব্যবসা বাণিজ্য দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করা উত্তম মঙ্গল।
৫) পণ্ডিত ব্যক্তির সেবা করা এবং পূজনীয় ব্যক্তির পূজা করা উত্তম।
৬) সঠিক পথে পরিচালিত চিত্ত যতটুকু উপকার করতে পারে মাতা-পিতা বা আত্মীয় স্বজনও তা করতে পারে না।
৭) জ্ঞানী ব্যক্তির জয়, অজ্ঞানী ব্যক্তির পরাজয় ঘটে। ধর্মানুরাগী জয়ী হন কিন্তু ধর্ম হিংসাকারীর পরাজয় ঘটে।
৮) ক্রোধ সংবরণ কর। অহংকার পরিত্যাগ কর। সকল বন্ধন অতিক্রম কর।
৯) অল্প বুদ্ধি সম্পন্ন মূর্খেরা দুঃখদায়ক পাপ কাজের দ্বারা নিজেকে নিজের শক্রুতে পরিণত করে।
১০) নিজেই নিজের ত্রাণ কর্তা। অন্য কেউ নয়। নিজেকে সুসংহত করতে পারলে মানুষ নিজের মধ্যেই দুর্লভ আশ্রয় লাভ করতে পারে।
অবশেষে খ্রিস্টপূর্ব ৪৮৩ অব্দে গৌতম বুদ্ধ
আরেক বৈশাখী পূর্ণিমায় কুশীনগর নামক স্থানে ৮০ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।